সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি।। বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
ধার্য তারিখ থাকায় বরগুনা কারাগারের শিশু ইউনিট থেকে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সাথে জামিনে থাকা আট আসামিও আদালতে হাজির হন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। আগামী বুধবার পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৪ জনের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। অপর দিকে ৩০ সেপ্টেম্বর এই আলোচিত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এ মামলায় অপর চার আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা বর্তমানে বরগুনা জেলা কারাগারে রয়েছেন ।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, যুক্তিতর্কের প্রথম দিনে বাদির মামলা ও সাতজন আসামি দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করি এই মামলায় আমরা ন্যায় বিচার পাব।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আমরা যুক্তিতর্ক শুরু করবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার মক্কেল আরিয়ান শ্রাবন ন্যায় বিচার পাবে। রিফাত হত্যার সময় আমার মক্কেল পরীক্ষার হলে ছিল।
উল্লেখ্য, বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগিরা। পরে রিফাত শরীফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যায়। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply